Harry Potter and The Philosopher's Stone- J K Rowling
এটা একটা প্রচন্ড কঠিন কাজে হাত দিয়ে ফেললাম মনে হচ্ছে। হয়তো সাপের ছুঁচো গেলার case হয়ে যেতে পারে। দেখা যাক- না হলে delete করে দেওয়ার রাজকীয় পন্থা তো খোলা থাকছেই।
Harry Potter এর সাথে আমার প্রথম পরিচয় খুব স্বাভাবিক ভাবে আমার মত মধ্যবিত্ত আর পাঁচটা বাঙালি ছেলের মত তার সিনেমার হাত ধরেই। বোধহয় প্রথম সিনেমা আর চার নম্বর বই, এক সাথে বেরিয়েছিল। নাঃ, এই মাত্র নেট ঘেঁটে দেখলাম। প্রথম সিনেমা ২০০২ আর চার নম্বর বই ২০০০।
যাই হোক, সিনেমা দেখে আসার পর বই কেনা- এবং সেই আগ্রহ জাগিয়ে তোলার পিছনে অবশ্যই ধন্যবাদ দেব আনন্দবাজার পত্রিকা কে। গোগ্রাসে গিলে ফেলা প্রথম চার খানা খন্ড। তারপর পাগলের মত প্রতীক্ষা। যাই হোক, সেই গল্প আর এক দিনের। আজকের গল্প- না থুড়ি, ঠিক গল্প না, আজকের বকবক প্রথম খন্ড নিয়ে।
কাহিনীসূত্র বিন্যাস নিয়ে কথা খরচ করব না, কারন বারবার করে সিনেমাটার পুনঃপ্রচার আর বইটা পড়ার কল্যানে সে গল্প আজ সবার জানা। আজকের আলোচনা একটু অন্য পথে।
আমি by nature, Fantasy genre এর ভক্ত। সেটা যে কোন রকম fantasy হতে পারে, রূপকথা হোক বা কল্পবিজ্ঞান। Harry Potter এর সব থেকে মজার ব্যাপার, কিছুতেই classify করা যায়না। Fantasy বা রূপকথার দুই রকম শ্রেণীভাগ করা হয়ে থাকে সাধারণত। High Fantasy আর Low Fantasy।
প্রথম ভাগের সব থেকে বড় Identifying Characteristics হল, যেখানে লেখক নিজের কল্পনার জগৎ গড়ে তুলবেন- তার ইতিহাস, ভূগোল সব কিছুই আলাদা হবে আমাদের চেনা জানা পৃথিবীর থেকে (Eragon Series, Game of Thrones Series দ্রষ্টব্য), আর Low Fantasy ঠিক তার উল্টো। আমাদের চেনা জানা পৃথিবীতেই তার বাস। তার ইতিহাস, ভূগোল আমাদের চারপাশের চেনা সব কিছুকে ভিত্তি করে তার গল্প গড়ে ওঠে। এইখানেই তার মজা। Harry Potter এর গল্পের জগৎ যেন ঠিক আমাদের চারপাশেই ছড়িয়ে আছে, যেন একটা হালকা পর্দার আড়ালে, সরালেই দেখতে পাব। কিন্তু সেই পর্দার আড়ালটা সরানো যায়না। এইখানেই Rowling এর মুনশিয়ানা। এই যে ধরি ধরি মনে করি, কিন্তু ধরা যায় না ভাবটা। সব থেকে বড় কথা চরিত্র গঠন। সব থেকে ভালো লাগে একটা জিনিস- চরিত্র গুলো প্রতিটা ভীষণ বাস্তব। আমাদের চারপাশে সব চরিত্র গুলোর কোন অভাব নেই। কেউ সাদা কালো না, সবাই ধূসর। সবার কিছু না কিছু দোষ গুণ আছে। এমনকি Harry-ও কিন্তু সম্পূর্ণ ভালো না।
Rowling-র লেখা আমাকে যেখানে সব থেকে বেশি টানে যে প্রতিটা বইয়ের সাথে সাথে সব কয়টা চরিত্র যেভাবে বড় হয়ে উঠেছে, তাদের মানসিকতার যে ভাবে পরিবর্তন হয়েছে তার পরিবর্তনটা এত সুন্দর ভাবে উনি তুলে ধরেছেন যে ভাষায় বোঝানো আমার কম্ম না। তবু ধীরে ধীরে চেষ্টা করব পরে।
প্রথম বইতে দাগ কেটে যায় সহজ সরল ভাষার ব্যবহার, ভীষণ ছোট ছোট বাক্য- কোন মানসিকতার জটিলতা নেই সেই অর্থে। খুব সোজা রাস্তা ধরে গল্প চলতে থাকে আর তার সাথে তাল মিলিয়ে রহস্য দানা বেঁধে উঠতে থাকে। কিন্তু কোন সময়ই শুধু রহস্য রস কে প্রাধান্য দিত গিয়ে লেখিকা এ কথা ভুলে যাননি যে লেখাটা বাচ্চাদের জন্যে। মাঝে মাঝেই প্রসিদ্ধ ব্রিটিশ ঠাট্টার ঝলকানি ছড়িয়ে পাতায় পাতায়। যে কেউ, মানে বিশেষ করে যারা রূপকথার গল্প খুব নিয়মিত পড়ে, তাদের একটা ভীষণ স্বভাব থাকে যে গল্পের নায়ক বা নায়িকার সাথে নিজেকে একাত্ম করে নেওয়া, আর তার সাথে সাথে তার জায়গায় নিজেকে বসিয়ে কল্পনা করতে থাকা। বিশেষ করে বাচ্চারা এটা খুব করে। আর যারাই একটু খানি শিশুসাহিত্য নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করেছেন, তারাই জানেন যে বাচ্চাদের কাছে একটা ভীষণ প্রিয় theme হল যেখানে সবাই হেরে যাচ্ছে, বড়রা হলে পানি পাচ্ছে না সেখানে তারা নিজের বুদ্ধি দিয়ে বন্ধুরা মিলে শেষ রক্ষা করছে। Rowling এই pulse টা খুব ভালো করে বুঝেছিলেন বলেই harry সারা পৃথিবীর বাচ্চাদের কাছে এত প্রিয়।
Harry Potter এর সাথে আমার প্রথম পরিচয় খুব স্বাভাবিক ভাবে আমার মত মধ্যবিত্ত আর পাঁচটা বাঙালি ছেলের মত তার সিনেমার হাত ধরেই। বোধহয় প্রথম সিনেমা আর চার নম্বর বই, এক সাথে বেরিয়েছিল। নাঃ, এই মাত্র নেট ঘেঁটে দেখলাম। প্রথম সিনেমা ২০০২ আর চার নম্বর বই ২০০০।
যাই হোক, সিনেমা দেখে আসার পর বই কেনা- এবং সেই আগ্রহ জাগিয়ে তোলার পিছনে অবশ্যই ধন্যবাদ দেব আনন্দবাজার পত্রিকা কে। গোগ্রাসে গিলে ফেলা প্রথম চার খানা খন্ড। তারপর পাগলের মত প্রতীক্ষা। যাই হোক, সেই গল্প আর এক দিনের। আজকের গল্প- না থুড়ি, ঠিক গল্প না, আজকের বকবক প্রথম খন্ড নিয়ে।
কাহিনীসূত্র বিন্যাস নিয়ে কথা খরচ করব না, কারন বারবার করে সিনেমাটার পুনঃপ্রচার আর বইটা পড়ার কল্যানে সে গল্প আজ সবার জানা। আজকের আলোচনা একটু অন্য পথে।
আমি by nature, Fantasy genre এর ভক্ত। সেটা যে কোন রকম fantasy হতে পারে, রূপকথা হোক বা কল্পবিজ্ঞান। Harry Potter এর সব থেকে মজার ব্যাপার, কিছুতেই classify করা যায়না। Fantasy বা রূপকথার দুই রকম শ্রেণীভাগ করা হয়ে থাকে সাধারণত। High Fantasy আর Low Fantasy।
প্রথম ভাগের সব থেকে বড় Identifying Characteristics হল, যেখানে লেখক নিজের কল্পনার জগৎ গড়ে তুলবেন- তার ইতিহাস, ভূগোল সব কিছুই আলাদা হবে আমাদের চেনা জানা পৃথিবীর থেকে (Eragon Series, Game of Thrones Series দ্রষ্টব্য), আর Low Fantasy ঠিক তার উল্টো। আমাদের চেনা জানা পৃথিবীতেই তার বাস। তার ইতিহাস, ভূগোল আমাদের চারপাশের চেনা সব কিছুকে ভিত্তি করে তার গল্প গড়ে ওঠে। এইখানেই তার মজা। Harry Potter এর গল্পের জগৎ যেন ঠিক আমাদের চারপাশেই ছড়িয়ে আছে, যেন একটা হালকা পর্দার আড়ালে, সরালেই দেখতে পাব। কিন্তু সেই পর্দার আড়ালটা সরানো যায়না। এইখানেই Rowling এর মুনশিয়ানা। এই যে ধরি ধরি মনে করি, কিন্তু ধরা যায় না ভাবটা। সব থেকে বড় কথা চরিত্র গঠন। সব থেকে ভালো লাগে একটা জিনিস- চরিত্র গুলো প্রতিটা ভীষণ বাস্তব। আমাদের চারপাশে সব চরিত্র গুলোর কোন অভাব নেই। কেউ সাদা কালো না, সবাই ধূসর। সবার কিছু না কিছু দোষ গুণ আছে। এমনকি Harry-ও কিন্তু সম্পূর্ণ ভালো না।
Rowling-র লেখা আমাকে যেখানে সব থেকে বেশি টানে যে প্রতিটা বইয়ের সাথে সাথে সব কয়টা চরিত্র যেভাবে বড় হয়ে উঠেছে, তাদের মানসিকতার যে ভাবে পরিবর্তন হয়েছে তার পরিবর্তনটা এত সুন্দর ভাবে উনি তুলে ধরেছেন যে ভাষায় বোঝানো আমার কম্ম না। তবু ধীরে ধীরে চেষ্টা করব পরে।
প্রথম বইতে দাগ কেটে যায় সহজ সরল ভাষার ব্যবহার, ভীষণ ছোট ছোট বাক্য- কোন মানসিকতার জটিলতা নেই সেই অর্থে। খুব সোজা রাস্তা ধরে গল্প চলতে থাকে আর তার সাথে তাল মিলিয়ে রহস্য দানা বেঁধে উঠতে থাকে। কিন্তু কোন সময়ই শুধু রহস্য রস কে প্রাধান্য দিত গিয়ে লেখিকা এ কথা ভুলে যাননি যে লেখাটা বাচ্চাদের জন্যে। মাঝে মাঝেই প্রসিদ্ধ ব্রিটিশ ঠাট্টার ঝলকানি ছড়িয়ে পাতায় পাতায়। যে কেউ, মানে বিশেষ করে যারা রূপকথার গল্প খুব নিয়মিত পড়ে, তাদের একটা ভীষণ স্বভাব থাকে যে গল্পের নায়ক বা নায়িকার সাথে নিজেকে একাত্ম করে নেওয়া, আর তার সাথে সাথে তার জায়গায় নিজেকে বসিয়ে কল্পনা করতে থাকা। বিশেষ করে বাচ্চারা এটা খুব করে। আর যারাই একটু খানি শিশুসাহিত্য নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করেছেন, তারাই জানেন যে বাচ্চাদের কাছে একটা ভীষণ প্রিয় theme হল যেখানে সবাই হেরে যাচ্ছে, বড়রা হলে পানি পাচ্ছে না সেখানে তারা নিজের বুদ্ধি দিয়ে বন্ধুরা মিলে শেষ রক্ষা করছে। Rowling এই pulse টা খুব ভালো করে বুঝেছিলেন বলেই harry সারা পৃথিবীর বাচ্চাদের কাছে এত প্রিয়।
Comments
Post a Comment