রচনাসংগ্ৰহ- সাগরময় ঘোষ
মতামত একান্তই ব্যক্তিগত।
বাংলা সাহিত্যের সাথে যাঁরই এক আনার পরিচয় আছে, সাগরময় ঘোষের নাম শুনলেই এক নামে চেনেন। নামটা শুনলেই অসম্ভব মণীষা, মনন ও প্রজ্ঞার এক অনন্য সম্মিলন চোখের সামনে ভেসে ওঠে। আমাদের আগের প্রজন্মের, বা আমাদের প্রজন্মের বেড়ে ওঠার সময় এতখানি সহজলভ্য ছিল না বড় বড় লোকেদের চেহারা দেখতে পাওয়াটা। নায়ক, নায়িকা হলে, সে তিনি রাজনীতির হন বা সিনেমার, তবু সুযোগ ছিল- যদিও page ৩ নামক উপদ্রবটির আমদানি ঘটেনি ভারতীয় সংবাদজগতে, তবুও অবরে সবরে তাঁদের দর্শন পাওয়া যেত। সাগরময় ঘোষের চেহারা বলতে আমার আজ-ও চোখের সামনে ভেসে ওঠে ওনার মারা যাওয়ার পরে দেশে যখন স্মৃতিচারণ সংখ্যা বের হ'ল, তার প্রচ্ছদে হাতে আঁকা ছবি। চেষ্টা করলাম খুঁজে বের করতে পারলাম না। যাই হোক, প্রসঙ্গান্তরে চলে যাচ্ছি।
যে কারনে এ লেখার অবতারণা- আমার মত অর্বাচীনের বড় চর্চা। সাগরময় ঘোষের রচনাসমগ্র পড়তে পড়তে। বলা ভাল, পড়া শেষ করে। পড়তে পড়তে একটা জিনিস বড় পীড়া দিয়েছে। গল্প বলা খুব কঠিন জিনিস। গল্প সবাই বলতে পারে না। গল্প লিখতেও জানতে হয়। কিন্তু গল্পের গল্প লেখা? সে বড় দুঃসাধ্য জিনিস।
ধারাবিবরণী করেন অনেকেই। কিন্তু তবু রেডিওর যুগের প্রবীণরা অজয় বসুর নাম শুনলেই উচ্ছসিত হয়ে ওঠেন। এখনকার যুগের ক্রিকেটেও সবার কমেন্ট্রি ভালো লাগে না মোটেও। খেলা নিয়ে লেখেন তো কতজন। তবে কেন এত বছর পার করেও নেভিল কার্ডাস অমর?
সাগরময় ঘোষের গল্প বলার ধরন বড় কাঠখোট্টা। যেন German woodcut এর কাজ। আক্ষরিক অর্থেই কাঠ খোট্টা। তাতে সুষম ব্যঞ্জনা আছে, আছে পরিমিতি বোধ মারাত্মক মাত্রায়। সাদা কালোর অপূর্ব balance আছে। তবু কেন জানি সেই ছবি দেখে মন ভিতর থেকে বাহ্ বলে উঠতে পারে না। হয়তো দর্শকের অক্ষমতা।
হয়তো কেন, নিশ্চয়ই তাই-ই হবে। তবুও, কোথাও কিছু একটা যেন খামতি থেকে যায় মনের মধ্যে তাঁর লেখা পড়তে পড়তে। তাঁর অভিজ্ঞতার ঝুলি তো কম না, তার থেকেই টুকরো টাকরা উপুড় করে মেলে ধরেছেন আমাদের সামনে। জার্ণাল হিসাবে তার তুলনা মেলা ভার, কিন্তু সাহিত্য যেন হয়ে ওঠে না।
আগেই বলেছি দর্শকের অক্ষমতা হয়তো।
বাংলা সাহিত্যের সাথে যাঁরই এক আনার পরিচয় আছে, সাগরময় ঘোষের নাম শুনলেই এক নামে চেনেন। নামটা শুনলেই অসম্ভব মণীষা, মনন ও প্রজ্ঞার এক অনন্য সম্মিলন চোখের সামনে ভেসে ওঠে। আমাদের আগের প্রজন্মের, বা আমাদের প্রজন্মের বেড়ে ওঠার সময় এতখানি সহজলভ্য ছিল না বড় বড় লোকেদের চেহারা দেখতে পাওয়াটা। নায়ক, নায়িকা হলে, সে তিনি রাজনীতির হন বা সিনেমার, তবু সুযোগ ছিল- যদিও page ৩ নামক উপদ্রবটির আমদানি ঘটেনি ভারতীয় সংবাদজগতে, তবুও অবরে সবরে তাঁদের দর্শন পাওয়া যেত। সাগরময় ঘোষের চেহারা বলতে আমার আজ-ও চোখের সামনে ভেসে ওঠে ওনার মারা যাওয়ার পরে দেশে যখন স্মৃতিচারণ সংখ্যা বের হ'ল, তার প্রচ্ছদে হাতে আঁকা ছবি। চেষ্টা করলাম খুঁজে বের করতে পারলাম না। যাই হোক, প্রসঙ্গান্তরে চলে যাচ্ছি।
যে কারনে এ লেখার অবতারণা- আমার মত অর্বাচীনের বড় চর্চা। সাগরময় ঘোষের রচনাসমগ্র পড়তে পড়তে। বলা ভাল, পড়া শেষ করে। পড়তে পড়তে একটা জিনিস বড় পীড়া দিয়েছে। গল্প বলা খুব কঠিন জিনিস। গল্প সবাই বলতে পারে না। গল্প লিখতেও জানতে হয়। কিন্তু গল্পের গল্প লেখা? সে বড় দুঃসাধ্য জিনিস।
ধারাবিবরণী করেন অনেকেই। কিন্তু তবু রেডিওর যুগের প্রবীণরা অজয় বসুর নাম শুনলেই উচ্ছসিত হয়ে ওঠেন। এখনকার যুগের ক্রিকেটেও সবার কমেন্ট্রি ভালো লাগে না মোটেও। খেলা নিয়ে লেখেন তো কতজন। তবে কেন এত বছর পার করেও নেভিল কার্ডাস অমর?
সাগরময় ঘোষের গল্প বলার ধরন বড় কাঠখোট্টা। যেন German woodcut এর কাজ। আক্ষরিক অর্থেই কাঠ খোট্টা। তাতে সুষম ব্যঞ্জনা আছে, আছে পরিমিতি বোধ মারাত্মক মাত্রায়। সাদা কালোর অপূর্ব balance আছে। তবু কেন জানি সেই ছবি দেখে মন ভিতর থেকে বাহ্ বলে উঠতে পারে না। হয়তো দর্শকের অক্ষমতা।
হয়তো কেন, নিশ্চয়ই তাই-ই হবে। তবুও, কোথাও কিছু একটা যেন খামতি থেকে যায় মনের মধ্যে তাঁর লেখা পড়তে পড়তে। তাঁর অভিজ্ঞতার ঝুলি তো কম না, তার থেকেই টুকরো টাকরা উপুড় করে মেলে ধরেছেন আমাদের সামনে। জার্ণাল হিসাবে তার তুলনা মেলা ভার, কিন্তু সাহিত্য যেন হয়ে ওঠে না।
আগেই বলেছি দর্শকের অক্ষমতা হয়তো।
Comments
Post a Comment