Posts

Showing posts from July, 2017

Harry Potter and The Philosopher's Stone- J K Rowling

এটা একটা প্রচন্ড কঠিন কাজে হাত দিয়ে ফেললাম মনে হচ্ছে। হয়তো সাপের ছুঁচো গেলার case হয়ে যেতে পারে। দেখা যাক- না হলে delete করে দেওয়ার রাজকীয় পন্থা তো খোলা থাকছেই। Harry Potter এর সাথে আমার প্রথম পরিচয় খুব স্বাভাবিক ভাবে আমার মত মধ্যবিত্ত আর পাঁচটা বাঙালি ছেলের মত তার সিনেমার হাত ধরেই। বোধহয় প্রথম সিনেমা আর চার নম্বর বই, এক সাথে বেরিয়েছিল। নাঃ, এই মাত্র নেট ঘেঁটে দেখলাম। প্রথম সিনেমা ২০০২ আর চার নম্বর বই ২০০০। যাই হোক, সিনেমা দেখে আসার পর বই কেনা- এবং সেই আগ্রহ জাগিয়ে তোলার পিছনে অবশ্যই ধন্যবাদ দেব আনন্দবাজার পত্রিকা কে। গোগ্রাসে গিলে ফেলা প্রথম চার খানা খন্ড। তারপর পাগলের মত প্রতীক্ষা। যাই হোক, সেই গল্প আর এক দিনের। আজকের গল্প- না থুড়ি, ঠিক গল্প না, আজকের বকবক প্রথম খন্ড নিয়ে। কাহিনীসূত্র বিন্যাস নিয়ে কথা খরচ করব না, কারন বারবার করে সিনেমাটার পুনঃপ্রচার আর বইটা পড়ার কল্যানে সে গল্প আজ সবার জানা। আজকের আলোচনা একটু অন্য পথে। আমি by nature, Fantasy genre এর ভক্ত। সেটা যে কোন রকম fantasy হতে পারে, রূপকথা হোক বা কল্পবিজ্ঞান। Harry Potter এর সব থেকে মজার ব্যাপার, কিছুতেই classify করা যায়ন...

বাবলি- বুদ্ধদেব গুহ

লেখা হিসাবে বাবলি যে খুব উঁচু দরের কোন উপন্যাস তা নয়। বরং বোকা বোকা প্রেমের উপন্যাস হিসাবে classification করাটাই সমীচীন হবে। বুদ্ধদেব গুহ'র মুনশিয়ানা কিন্তু তাঁর উপন্যাসের কাহিনীসূত্র বিন্যাসে নয়, তাঁর ভাষার কারুকার্যে। ভাষা দিয়ে যে কি অপূর্ব সুন্দর ছবি আঁকা যায়, সেটা বুদ্ধদেব গুহ'র লেখা পড়লে বারবার করে মনে হয়।  প্রকৃতিকে খুব কাছ থেকে না দেখলে, ভিতর থেকে পাগলের মত ভালো না বাসলে এ লেখা আসেনা। আর সব থেকে টান মেরে যায় লেখায় রঙের ব্যবহার। কোন প্রচলিত অর্থে রঙের ব্যবহার নেই তাঁর ল েখায়। কিন্তু সেই রঙ এমন ভাবে আসে যে পড়তে পড়তে চোখ বুজে কল্পনা করে নিতে এতটুকু অসুবিধা হয় না দৃশ্যটা। আর কিছু না, শুধু এই কথা দিয়ে এঁকে দেওয়া ছবি টুকুর লোভেই বারবার বুদ্ধদেব গুহ'র কাছে ফিরে ফিরে আসা। "তখন সবে ভোর হচ্ছে। ঝরঝর করে বয়ে চলেছে বর্ষার ঘোলা জলে ভরা ডিফু নদী পাহাড়ের বুক কেটে। এপাশে রাস্তা, ওপাশে ঘন গভীর জঙ্গল। নানারকম বাঁশ ঝোপ, জংলী কলাগাছের ঝাড়, বেত বন, আরো কত কি গাছগাছালি। নদীটা এখানে খুব সামান্যই চওড়া হয়ে গেছে সমতলে পড়ে। নদীর দু'পাশে কুমারী গাছ-গাছালি এমন চন্দ্রাতপের সৃষ্টি করেছে য...

24/07/2017

অনেক দিন ধরে কিছু লিখিনা। লেখা আসে না। এখানে কিছু ওখানে কিছু, হঠাৎ করে হয়তো লিখে ফেললাম। কিন্তু কিছু লিখবো বলে যে লেখা, সে চলে গেছে। আসলে সব কিছু একটা সময় বা মাত্রা মেনে হয়, এখন হয়তো মাত্রাছাড়া হয়ে গেছি। মাঝে মাঝে ভাবি, লেখা শুরু করলে হয়। কিন্তু লিখবটা কি? facebook এ লোকজনের লেখা পড়ি, বাহবা দেই, কিন্তু সেই লেখার ক্ষমতা আমার নেই, আসলে ছিলই না কোনো দিন। Diary লেখার কথা মনে হয়, কিন্তু ওই.... লিখব বলে মনে হয়, এই-ই আমার দৌড়। দেখা যাক, কিছুদিন ধরে facebook এ আমার খুচরো কিছু লেখা নিয়ে পরিচিত দু চার জনের কাছ থেকে উৎসাহ পেয়েছি, আর সেই জন্যেই হঠাৎ করে মনে হল যে আর একবার হাত মকশো করে দেখলে খারাপ হয় না। কিন্তু সেটা Diary না কি ব্লগ সে এখনো জানি না। ডায়েরি হিসাবে লিখলে এক রকম, আর ব্লগ লিখলে আর রকম। দেখা যাক কি দাঁড়ায়। তবে এ কথা ঠিক যে লিখতে গেলে আমার প্রচুর মুদ্রাদোষ ছাড়তে হবে- যেমন আমার দেখা যাক কথা টা বলা, আমার Interesting শব্দটা ব্যবহার করতে গেলে সংযত হওয়া, এই সব আর কি। সব থেকে বড় কথা হল পরিশ্রম করতে হবে। আসলে কি লিখব সেটাই খুঁজে পাইনা। কি নিয়ে লিখব। লেখার বিষয়ের অভাব নেই এ কথা বলতে সব...